দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন আ’লীগের সম্মেলন ও কাউন্সিল বয়কট করেছেন ত্যাগী নেতাকর্মীরা

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ◑
রামু উপজেলার আওতাধীন দক্ষিণ মিঠাছড়িতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১৫ মার্চ রোববারের সম্মেলন ও কাউন্সিলকে বয়কট করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা।

ইউনিয়নের প্রকৃত আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে জামায়াত-পিএনপির নেতাকর্মীদের কাউন্সিলর বানিয়ে যে সম্মেলন ও কাউন্সিল করা হয়েছে তা দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা মানে না এবং মানবে না বলে একটি আলোচনা সভা করেন।

১৫ মার্চ (রোববার) দক্ষিণ মিঠাছড়ি চেইন্দা বসুন্ধরা পার্কে দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক ও সাবেক সভাপতি হাজ¦ী শামসুল আলম সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক মো. ইউনুছ ভুট্টো (চেয়ারম্যান)।

তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, আমি ছাত্র রাজনীতি থেকে বঙ্গ বন্ধুর আর্দশের রাজনীতি করে আসছি। অথচ বর্তমানে অত্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক হিসেবে দায়িত্বে আছি। কিন্তু রামু স্বপ্নপুরী ক্লাবে দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যে মনগড়া সম্মেলন ও কাউন্সিল হচ্ছে তা জামায়াত-বিএনপি লোকদের নিয়ে। এসব সম্মেলন ও কাউন্সিল বঙ্গ বন্ধুর আর্দশের অনুসারীরা মানে না এবং মানবে না। আমরা ওই মনগড়া সম্মেলনকে বয়কট করছি। অতি শীঘ্রই অত্র ইউনিয়নে পাল্টা কমিটি ঘোষণা করবে ইনশাল্লাহ।

এসময় বক্তব্য রাখেন, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক রশিদ আহমদ, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আবু, অত্র ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদুল আলম, আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. শফি, ছৈয়দ আলম, ৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক, কাউন্সিলর মো. আলমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

উক্ত আলোচনা সভায় বক্তা বলেন, জামায়াত-বিএনপির সমর্থিত লোকদের নিয়ে যে সম্মেলন করা হয়েছে তা আমরা মানি না। প্রায় ১০০ জনের অধিক কাউন্সিলর প্রার্থী ১৫ মার্চ রামু স্বপ্নপুরী ক্লাবে না যায়নি।

যেহেতু জামায়াত-বিএনপিসহ কাউন্সিলর তালিকায় ভিন্নমত ও দলের অনুসারীদের তালিকাভুক্তকরণ এবং স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের কারণে। ইউনিয়নে যারা খেয়ে না খেয়ে বছরের পর বছর ধরে আমাদের প্রাণের সংগঠন আওয়ামীলীগ করে যাচ্ছি এবং বর্তমান আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্তদের মধ্যেই অধিকাংশই কাউন্সিলর তালিকা থেকে ষঢ়যন্ত্রমূলকভাবে বাদ পড়ে গেছি। এতে ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি চরম আকার ধারণ করেছে। রাজনীতির সাথে জুড়িয়ে নয় এমন ব্যক্তিকে ও অদৃশ্য কারণে কাউন্সিলর করা হয়েছে। যার কারণে তারা বাধ্য হয়ে ওই জামায়াত-বিএনপি সমর্থিত সম্মেলন ও কাউন্সিল পুরোপুরি বয়কট করি।

তারা আরও বলেন, খুব শীঘ্রই অত্র ইউনিয়নে পাল্টা কমিটি ঘোষণা করবেন। অনুপ্রবেশকারী ও ভিন্ন মতের অনুসারীদের যে কোনো উপায়ে প্রতিহত করবেন। ওই মনগড়া সম্মেলন ও কাউন্সিলকে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন।